ফেসবুক ও স্ন্যাপচ্যাট জানিয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ধরন ভবিষ্যতে টিকটকের মতো হবে। এ ব্যাপারে স্ন্যাপচ্যাটের সিইও ইভান স্পিগেল বলেছেন, অ্যাপে বন্ধু তালিকায় থাকা লোকজনের স্টোরি দেখার পেছনে মানুষ খুব বেশি সময় ব্যয় করছে না।

স্ন্যাপচ্যাটের স্পটলাইটের ভিডিওগুলোতেই বেশি সময় দিচ্ছে তারা। স্পটলাইটে যেকোনো মানুষের পোস্ট করা ভাইরাল ভিডিও থাকে, ঠিক টিকটকের মতোই।

স্পিগেল আরও বলেন, ‘মহামারি জুড়ে আমরা যে প্রবণতা লক্ষ্য করেছি, এটি তারই ধারাবাহিকতা। প্রতিদিন সক্রিয় ব্যবহারকারীদের স্টোরি পোস্ট করা ও দেখা মহামারির আগের সময়ের পর্যায়ে ফিরে আসেনি।’
কনটেন্ট সেকশনে পরিবর্তনগুলো ঠিক কেমন হবে, তা এখনো বিশদভাবে জানায়নি স্ন্যাপচ্যাট। তবে এটি টিকটকের মতো দেখতে হতে পারে, সেটা ভেবে নেওয়া যেতে যেতে পারে।

এদিকে ফেসবুকের মূল কোম্পানি মেটার সিইও মার্ক জাকারবার্গও টিকটককে নিজেদের জন্য হুমকি হিসেবে দেখছেন। তিনি বলেছেন, ‘মানুষের কাছে সময় কাটানোর জন্য অনেক সুযোগ আছে। আর টিকটকের মতো অ্যাপগুলোর জনপ্রিয়তা দ্রুত বাড়ছে।’

স্ন্যাপচ্যাটের ব্যবসা এখনো ভালো চললেও সম্প্রতি মেটার বাজারমূল্য কমেছে ২০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি। অন্যদিকে ২০২০ সালের আগস্টে বাজারে আসা টিকটকের জনপ্রিয়তা বেড়েই চলেছে। ফলে ফেসবুক ও স্নাপচ্যাট টিকটককে প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দেখছে। ভবিষ্যতে টিকটকের সঙ্গে তাল মিলিয়েই হয়তো চলতে দেখা যাবে ফেসবুক-স্ন্যাপচ্যাটকে।

সূত্র : দ্য ভার্জ/ বিজনেস ইনসাইডার

 

 

কলমকথা/বি সুলতানা